1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মতিঝিলের রাস্তা বিএনপির কেন এত পছন্দ, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর | Bastob Chitro24
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

মতিঝিলের রাস্তা বিএনপির কেন এত পছন্দ, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

আসলে জনসভা নয়, ১০ ডিসেম্বর ইস্যু বানিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মতিঝিলের রাস্তা তাদের কেন এত পছন্দ; এর পেছনে দূরভিসন্ধি আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সমাবেশ করতে চায় না। ইস্যু তৈরি করতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কেউ এ চেষ্টা চালালে দলের নেতারা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।

মিশরে অনুষ্ঠিত কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে জায়গা দেয়া হয়েছে। পুলিশের সাথে আলোচনার সময় বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের সব বড় বড় জনসভা হয়েছে। যে ময়দান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যে ময়দানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছে, যেখানে অতীতেও তারা অনেক জনসভা করেছে। আমরা তো নিয়মিতই করি। সেখানে তাদের যেতে এতো অস্বীকৃতি কেন, অনীহা কেন? তারা রাস্তায় কেন জনসভা করতে চায়?

তিনি বলেন, আসলে রাস্তায় জনসভা করে তারা গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়। তারা জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়। নাগরিকরা রাস্তায় জনসভা করার বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা রাস্তা চেয়ে বেড়াচ্ছে। এটি তো কোনোভাবেই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে। সেটা বলে না। বলে এ-রাস্তা, না হয় ও-রাস্তা।

মন্ত্রী বলেন, তারা বলছে অন্য রাস্তা বা মতিঝিলের রাস্তা। মতিঝিল ঢাকা শহরের সবচাইতে ব্যস্ততম সড়ক। মতিঝিলের রাস্তা কেন তাদের এতো পছন্দ? যেখানে অনেক ব্যাংক-বীমা আছে। যেখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এটা কেন তাদের এতো পছন্দ? এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র এবং দূরভিসন্ধি আছে।


তিনি বলেন, দেশে প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো জনসভা করতে চায় না। তারা এটিকে ইস্যু বানাতে চায় এবং দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টায় আছে তারা। আমাদের সরকার দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনা করছে একটি দলীয় সরকার, সেহেতু আমাদের দলেরও কর্তব্য আছে। দলের নেতাকর্মীদের কর্তব্য আছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবে।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সাংবাদিদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা তো বিএনপির নেতাকর্মী। এটি করার জন্য বিএনপি নেতারাই নির্দেশ ও অর্থ দিয়েছিল। এটির ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তাদের হাতে আগুন ও মানুষের রক্ত লেগে আছে। তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা আছে। জামিন বাতিল হলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাদের জামিন আদালত বাতিল করেছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।


সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মালিক জনগণ। এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না, সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার সুযোগ নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। এদেশের কূটনৈতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি