দিনাজপুরের বাজারে চিকন ধানের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে মোটা ধানের দাম। চিকন ধানের দাম মণপ্রতি বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় সরকারের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা জেলা খাদ্য বিভাগের।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ফার্মের হাট। ভোর থেকেই এখানে শুরু হয় কেনাবেচা। শীত উপক্ষো করে কৃষক ভটভটি, নছিমন, ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে ধান নিয়ে আসতে শুরু করেন হাটে।
হাটে বেড়েছে চিকন ধানের দাম। কাটারিভোগ ও চিনিগুঁড়া প্রতিমণ ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, সুমন স্বর্ণ ও গুটি স্বর্ণা মণপ্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে মোটা ধানের দাম কম। তবে তেল ও সারের দামসহ বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে পাইকার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে আমদানি কম হওয়ায় গত ১৫ দিন ধরে বেশি দামে চিকন ধান কিনতে হচ্ছে তাদের। তারা বলেন, সীমিত লাভের মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
এ ছাড়া বর্তমান বাজারে চিকন ধানের দাম অনুযায়ী চাল উৎপাদন করে তেমন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি মিলারের।
মিলাররা বলেন, চিকন ধানের দাম বেশি। বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ১৫০ টাকার বেশি দামে। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। তবে আমদানি কম বলে জানান তারা।
এ অবস্থায় চালের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এবারো অর্জন না হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় খাদ্য বিভাগ।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ৯৭ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে বাজারে আরও বেশি দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এতে সরকারি গুদামে ধান কম আসছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ৪৭ হাজার ৬৮৮ টন চাল এবং কৃষকের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৪০০ টন ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ।