আবারও বাড়ছে চালের দাম। দুই তিনদিনে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধির পর আরও বাড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন মিলাররা। এমনটাই বলছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ আশপাশের বাজারের বিক্রেতারা। এ অবস্থায় ধান-চালের বাজার তদারকির দাবি ক্রেতাদের। এদিকে কমছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, রাতভর চাল নামানোর পর এখনও বিভিন্ন মোকাম থেকে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।
এখানকার পাইকার ব্যবসায়ীরা জানালেন, চালের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। কারণ হিসেবে আমদানি করা চালের দাম বেশির সঙ্গে এবার ধানের দাম বৃদ্ধির যুক্তি যোগ হয়েছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে ১ থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। আমরা বিক্রি করতে পারছি না। বাজারে ক্রেতা নেই। প্রত্যেক মিলার বলছেন যে ধানের দাম বাড়তি। আমরা জানি না, সামনের দিনগুলোয় কী হবে?কৃষি মার্কেটের পাশের খুচরা বাজারে গেলে জানা যায়, দুই তিনদিনে সবধরনের চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এ বিষয়ে একজন খুচরা চাল বিক্রেতা বলেন, এ দুই তিনদিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দামেই ১ থেকে ২ টাকা বাড়তি। ভারতীয় মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে এনেছিলাম। গতকাল তা ৬৭ টাকা দিয়ে কিনেছি।
আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহে মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম। কালকে ৬৯ টাকায় কিনে এনেছি। মানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ টাকা বেড়েছে। তাদের অজুহাত, ভারত সরকার শুল্ক বসিয়েছে।
এদিকে ক্রেতারা জানান, এটি সিন্ডিকেটের কারণে হচ্ছে। উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক থাকার সত্ত্বেও দাম কিভাবে বাড়ে? সরকার যদি এটি সঠিকভাবে তদারকি করেন, তাহলে দাম সহনশীল পর্যায়ে নেমে আসবে। এতে আমাদের মতো ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
তবে রাজধানীর বাজারে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক কমে মিলছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল।তেলের দামের বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে তেলের সরবরাহ ভালো রয়েছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন বর্তমানে তার থেকেও কম দামে সয়াবিন ও পাম তেল বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৬ টাকা ও পাম তেল ১১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সবকিছুর দামই তো বেশি। এতে করে মাত্র একটি পণ্যের দাম কমলে তো হবে না।
বাজার ঘুরে জানা যায়, অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন ওঠানামা নেই, উচ্চমূল্যেই স্থিতিশীল রয়েছে।