পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু সেই বিশুদ্ধ পানি দেয়ার নামে চলছে প্রতারণা। রাজধানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরাসরি লাইনের পানি সরবরাহ করার অভিযোগে দুটি পানি বিশুদ্ধকরণ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বিশেষ মোবাইল কোর্ট এ অভিযান পরিচালনা করে।
রাজধানীর হাজারীবাগের বাড়ইখালী এলাকার এক গলির ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল স্বচ্ছ ওয়াটার ড্রপ ড্রিংকি ওয়াটার অ্যান্ড বেভারেজ। পানি বিশুদ্ধ না করেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জারে করে সরবরাহ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। স্বচ্ছ ওয়াটার ড্রপ ড্রিংকি ওয়াটার অ্যান্ড বেভারেজের ম্যানেজার রাশেদের দাবি ফ্যাক্টরিটি নতুন বিধায় তারা পরীক্ষা মূলকভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
অপরদিকে রাজধানীর ঢাকা উদ্যানে কে এস ফুড বেভারেজ ট্রেড লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফুড গ্রেডের জার ব্যবহার না করার অনিয়ম পাওয়া গেছে। ভুল স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ শাহাজাহান জানান, প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স ছাড়া কখনো ছিল না; লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা এর জন্য আবেদন করবেন।
বিএসটিআই উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটি নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর জারে সরাসরি পানি ভর্তি করে বিতরণ করছে এ অপরাধে আমরা তাদের জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করেছি।’
যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও যথাযথ ব্যবহার না করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো প্রতিষ্ঠান দুটি। অনিয়ম পাওয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ করে জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যবহৃত পানির জার ভেঙে ফেলা হয়।