১০ দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) ভোর থেকে জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা বাস টার্মিনালে এসে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বিকল্প পথে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাস বন্ধ থাকায় তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। এগুলো বন্ধসহ ১০টি দাবি রয়েছে।
সাফকাত মঞ্জুর বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি পূরণে স্মারকলিপি দেয়া হয়। সেগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্মঘট শুরু হয়।
১০ দফা দাবি হলো: সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস, করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ের ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে, সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন, পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ , মহাসড়কে হাটবাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে, যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..