চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার অভিজ্ঞতায় আগে থেকেই পরিবহন ধর্মঘটের শঙ্কা ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ কারণে শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি বিকল্প পরিবহন হিসেবে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও নৌকায় করে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশের দুদিন আগেই পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, লালমনিরহাট পৌর এলাকার নেতাকর্মীরা শহরের মিশন এলাকা থেকে একত্রিত হয়ে রওনা দেন। সদর উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীরা বড়বাড়ী শিমুলতলা শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় থেকে রওনা দেন। আর আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম পৌরসভা ও পাটগ্রাম উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীরা রওনা দেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা থেকে। মহিপুরে তিস্তা সেতু হয়ে রংপুরের সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন তারা।আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোনো না কোনোভাবে বাধা আসবেই। তা আমাদের আগে থেকে জানা ছিল। তা ছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলুর নির্দেশে আমরা যেকোনো উপায়ে রংপুরে ঢুকবই।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজমুল হোসেন প্রামাণিক বলেন, ‘সমাবেশে যোগ দিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও পিকআপভ্যানে সমাবেশের উদ্দেশে তাদের যাত্রা শুরু করেছেন। যথাসময়ে সব নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন। কোনো বাধাই আমাদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। যদি কোনো পক্ষ থেকে কোনো রকম বাধা দেয়া হয় সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, স্মরণকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রংপুরের গণসমাবেশে মানুষ গত দুদিন থেকেই আসছে। এর আগের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষ তাদের দাবি আদায়ের জন্য যোগ দিয়েছিল। এসব সমাবেশে কোনো বাধাই দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি, রংপুরের সমাবেশেও পারবে না। সকাল থেকেই রংপুরের অলিগলি জনস্রোতে ভরে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।