পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আত্রাই ও পুনর্ভবা নদী থেকেও ভাসমান মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গেছে, পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা তিনটি দলের ৯ ডুবুরি উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে করতোয়া নদীতে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী জানান, মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, এটি এ জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পরপরই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে নৌকাডুবির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। করতোয়া নদী পারাপারের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ইংরেজি বর্ণ ‘ওয়াই’ আকৃতির ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।