মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে হঠাৎ করেই পানি বেড়েছে। অসময়ের পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ঘিওরের বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে গত তিন দিনের ভাঙনে ৫টি বসতভিটাসহ ৫০ হেক্টর ফসলি জমি ও ঘিওর-পেচারকান্দা ৩০ মিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, ঘিওরের মাইলাগী ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেচারকান্দা, চর কোসন্ডা, বৈলটসহ ৫টি গ্রামের ভাঙনের মাত্রা বেশি। ভাঙনে বন্ধ হয়ে গেছে ঘিওর-পেচারকান্দর পাকা রাস্তা। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, ব্রিজ, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি ও বসতভিটা।
ভাঙনের আশঙ্কায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। ইতোমধ্যে অনেকে সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
কোসন্ডা গ্রামেের মো. হালিম জানান, তার ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাবা-মা কবরও চলে যাচ্ছে। নদীর কাছে নিজে অসহায় বলে জানান তিনি।
একই এলাকার নাছিমা জানান, গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তিনি। তার বাড়িতে সকালের রান্নাও হয়নি।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রতন মিয়া জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে গত ৩দিনের ভাঙনে ৫টি বসতভিড়া ও ৫০ হেক্টর ফসলি জমিসহ ঘিওর-পেচারকান্দা ৩০ মিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ভাঙন রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..