1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
ডেঙ্গুর অন্যতম হটস্পট চট্টগ্রাম | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

ডেঙ্গুর অন্যতম হটস্পট চট্টগ্রাম

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

ডেঙ্গুর অন্যতম হটস্পট এখন চট্টগ্রাম। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগী। সিভিল সার্জন বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সচেতনতার পাশাপাশি এডিসের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের পরামর্শ কীটতত্ত্ববিদের। এদিকে মশকনিধনে আলাদা বিভাগ খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

জানা গেছে, ডেঙ্গু আতঙ্কে মহানগরীসহ চট্টগ্রাম জেলা। চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুর প্রকোপ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে অক্টোবরের শেষেও বাড়ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি একই ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিকবার। রোগের স্থায়িত্বও হচ্ছে বেশিদিন। ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহতা দেখে সচেতনতা বৃদ্ধি, ডেঙ্গু কর্নার ও কন্ট্রোল রুম খোলাসহ তড়িঘড়ি করে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।

তিনি জানান, উনাদের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু কর্নার করার জন্য এবং ডেঙ্গুর কীটগুলো যথাযথভাবে ডায়াগনোসিসের জন্য যেটার প্রয়োজন হয় ওটা মজুদ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, ২৪ ধরনের এডিস মশার মধ্যে ইজিপ্ট ও এলবোপিকটাস প্রজাতির মশা থেকে ডেঙ্গু বেশি ছড়ায়। তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের ওপর।

চট্টগ্রাম জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। যেখানে মশা ডিম পাড়ে সে জায়গাগুলো আমাদের নষ্ট করতে হবে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সব সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জ্বরের জন্য কেবলমাত্র প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ সেবন করতেও নিষেধ করলেন এই চিকিৎসক।

উপজেলা সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও পটিয়া এবং নগরীর ষোলশহর, পাহাড়তলী ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় আক্রান্তের হার বেশি। মশকনিধনে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ সিটি করপোরেশন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আড়াই হাজার ভলান্টিয়ার রয়েছে যাদেরকে কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়েছি। এমনকি মশকনিধনের জন্য আমরা আলাদা একটা বিভাগ করেছি।

সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলায় জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, যার মধ্যে ৪টিই ছিল শিশু।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি