নাটোর সদর হাসপাতাল যেন নামেই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। আগের নিয়োগের ১৫ জন চিকিৎসকসহ ৬৩টি পদে জনবল নেই। চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন জেলার নানা প্রান্ত থেকে আসা সেবাপ্রত্যাশীরা।
জানা যায়, ২৫০ শয্যার নাটোর সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিতে এসে রোগীদের ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘ লাইনের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. রবিউল আওয়াল বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী দেখতে হয়। রোগীর চাপে মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, ১৯৯৫ সালের ২০ জুন ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে হাসপাতালটি এখনও ৫০ শয্যার জনবল রয়েছে। ৫০ শয্যার ২০৭ পদের মধ্যে ১৪৪ জন কর্মরত। এর মধ্যে ১৫ জন চিকিৎসকসহ ৬৩টি পদে জনবল নেই।
ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন ৬৬টি পদ সৃষ্টি করেছে। তবে নতুন সৃষ্টি হওয়া পদে ২৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। নতুন পদের লোকবল না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ১০০ শয্যা থেকে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা করা হয়।