1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
গণহত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা দরকার: শিক্ষামন্ত্রী | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন

গণহত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা দরকার: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা, গণহত্যা নিয়ে যত জায়গা যত সংজ্ঞা আছে, তার সবটার সঙ্গেই মিলে যায়। কাজেই এটি যে গণহত্যা এটির সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীর যত জায়গায় গণহত্যা নিয়ে কথা হয়, জাদুঘর আছে সবখানেই বাংলাদেশের কথা আছে। তবে অনেক জায়গাতেই ভুল তথ্য আছে। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি আছে। তাই আমাদের যত প্রামাণ্যচিত্র আছে, প্রমাণ আছে তা বিশ্বকে জানানো দরকার। আমরা যত বেশি এসব বিশ্বকে জানাতে পারবো তত দ্রুত আমাদের এটি যে গণহত্যা তা স্বীকৃতি পাবে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের আয়োজিত ‘৭১ এ গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এই স্বীকৃতি এই জন্যই দরকার, যেন পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমন জঘন্য গণহত্যা না হয়। বিশ্বের ইতিহাসে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

তিনি বলেন, আর এই গণহত্যার স্বীকৃতি মানুষের দাবি, ইতিহাসের দাবি। সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করে নেয়া উচিত। পাকিস্তানের আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর জাতিসংঘ যদি গণহত্যার বিষয়টি স্বীকৃতি দেয় তাহলে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি সহজ হবে।জাতি হিসেবে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানের কাছে দাবি করেছি বাংলাদেশের কাছে এই গণহত্যার জন্য তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর যারা আটকে পড়া পাকিস্তানি আছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তবে এখন আর তারা কেউই পাকিস্তানে যেতে চায় না। উল্টো পাকিস্তানের লোক সারাদিন বলছে আমাদের বাংলাদেশি বানিয়ে দাও।

একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও কেনো সেই দেশে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে মানুষ থাকবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের অনেক মানুষ এখনো স্বাধীনতাকে গণ্ডগোল বলেন। আমি বুঝি না তারা কী করে এই স্বাধীন দেশে রাজনীতি করেন। রাজনীতি তো দেশের সেবা, মানুষের সেবা করা।

তিনি বলেন, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে হলেও আমরা স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গেছি। তারা যতই বাধা দিক না কেনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষেই সেটা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বিচার হয়েছে। গণহত্যার স্বীকৃতিও অর্জন হবে।

তিনি আরও বলেন, রক্তের যদি দাম হতো তাহলে আমাদের স্বাধীনতার দাম অন্য যেকোনো দেশের চাইতে বেশি। কেননা, এতো দাম দিয়ে স্বাধীনতা আর কোথাও কেনা হয়নি। সেই স্বাধীন দেশে এসব অপশক্তি নির্মূল করতে হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক শ্রী অমল সরকার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ সিকদার ও সদস্য সচিব নারায়ণ সাহা মণি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি