কুমিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১০ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে আলমগীর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আলমগীরসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানানো হয়।র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার বন্ধু ও উক্ত মামলার ৩নং আসামি একই জেলার লাকসাম এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম (২৩) এর সাথে আত্মীয়তার সূত্র ধরে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে গত ১২ জুলাই বরুড়া থানার ছোট কালিকাপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আলমগীর ও তার বন্ধু তাদের অপর দুই সহযোগীকে উক্ত স্থানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে আলমগীর ও মকরম ভিকটিমকে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান বরুড়ার দূর্গাপুর কার্জন খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায় এবং আলমগীরের পরামর্শ অনুযায়ী ৩ নং ও ৪নং আসামি সাক্ষী আনার জন্য চলে যায়। অতঃপর ভিকটিমকে আলমগীর টর্চ লাইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রথমে আলমগীর ও পরে ২নং আসামি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তারা ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে দূর্গাপুর পাকা রাস্তার উপর রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায় এবং আলমগীরসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।