1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
খুলনায় বিএনপির সমাবেশ বাসের পর এবার ট্রেনও বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

খুলনায় বিএনপির সমাবেশ বাসের পর এবার ট্রেনও বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

খুলনা অভিমুখে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে কোনো ট্রেন যায়নি। বাসের পাশাপাশি সকাল থেকে ট্রেন বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খুলনাগামী যাত্রীরা। বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা হিসেবে বাস লঞ্চের মতোই ট্রেনও বন্ধ করা হয়েছে।

যশোর জংশন সূত্রে জানা গেছে, যশোর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বেনাপোল কমিউটার এবং বেলা ১১টায় সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস যশোর থেকে খুলনা যায়। তবে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ট্রেন খুলনার উদ্দেশ্যে যায়নি।

এদিকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে যশোর জংশনে কথা হয় খুলনার ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আবদুর রাজ্জাক খানের (৭০) সঙ্গে। তার বাড়ি যশোরের রূপদিয়ায়। শনিবার খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর কথা রয়েছে আবদুর রাজ্জাকের। বাস বন্ধ থাকায় তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের দেখা পাননি।

তিনি আক্ষেপ করে জানান, অসুস্থ অবস্থায় এই কষ্ট কীভাবে সহ্য করা যায়। অন্যের দায় সাধারণ মানুষকে আর কতদিন বহন করতে হবে।খুলনার ট্রেনের উদ্দেশ্যে অপেক্ষমাণ আরেক যাত্রী পারভীন বেগম জানান, খুলনার দৌলতপুরে তাদের বাড়ি। শুক্রবার তার বোনের ছেলের বিয়ের দাওয়াতে কয়েকদিন আগে যশোর এসেছিলেন। আজ জরুরি কাজ থাকায় বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় সকালে স্টেশনে এসে বসে আছেন তিনি। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কোনো ট্রেনের দেখা পাননি। টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন লেট। এখন ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্টেশনে বসেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যশোর স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, বেনাপোল কমিউটার বাতিল হয়েছে। আর ইশ্বরদী স্টেশনে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ফেল করেছে। যে কারণে স্টেশনে ট্রেন আসতে বিলম্ব হবে।

এদিকে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ নস্যাৎ করতে বাস লঞ্চের মতোই ট্রেনও বন্ধ করা হয়েছে। তবে তাতে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। সকল বাধা উপেক্ষা করে এরইমধ্যে মহাসমাবেশে বিপুল জনসমাগম হয়েছে। আরও জনসমাগম হবে বলেও জানান তিনি।শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন বাগেরহাট, যশোর, মোংলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীরা। পরিবহনের ধর্মঘটে ২১ রুটের সঙ্গে খুলনার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে না লঞ্চও। সবধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন আসছেন সমাবেশে। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার ফেস্টুন আর মিছিলে সমাগম বাড়ছে সমাবেশস্থলে।

এদিকে রাতে যারা সামাবেশস্থলে পৌঁছেছেন তাদের সময় কেটেছে গল্প-আড্ডা, গান আর স্লোগানে। অনেকেই সময় কাটাতে ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন, সেলফি তুলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রাতে থাকার জন্য বালিশ-কাঁথা, চাদর সঙ্গে নিয়ে আসেন। নিকট দূরত্বের অধিকাংশই এসেছেন হেঁটে, আর দূরের নেতাকর্মীরা ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনের মাধ্যমে পৌঁছেছেন ডাকবাংলা চত্বরে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পথে পথে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে সমাবেশে আসছেন মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি