পদ্মা সেতু চালুর পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকের চাপ বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমে হোটেল, রিসোর্ট খালি পড়ে থাকলেও এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাই সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি মাস্টারপ্ল্যান অনুয়ায়ী পরিকল্পিত উন্নয়নের দাবি সংশ্লিষ্টদের।
সূর্যোদয়- সূর্যাস্তের দৃশ্য আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা দেশ থেকে পর্যটকরা সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় ছুটে আসেন।
আগে দুর্বল সড়কপথের কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হতো। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
সৈকতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, সেতু হওয়ায় আমাদের সময়ের সাশ্রয় হয়েছে। আমরা সহজেই যাতায়াত করতে পারছি। আমাদের সব দিক দিয়ে সুবিধা হয়েছে।
আরেকজন পর্যটক বলেন, আগের কুয়াকাটায় আসতে চাইলেও আসতে পারতাম না। কারণ যখন শুনতাম যে লঞ্চ দিয়ে আসতে হবে, তখন আসার চিন্তাই বাদ দিয়ে দিতাম। এখন তো পদ্মা সেতু আছে। এখন তাড়াতাড়ি আসতে পারার কারণে এখানের সৌন্দর্য উপভোগ করার মানসিকতা নিয়ে আসতে পারছি।আগে যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল-রিসোর্ট খালি পড়ে থাকত, তবে এখন পর্যটকদের চাপে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।
এ বিষয়ে হোটেল মালিক মো. রাসেল খান বলেন, এখন মোটামুটি সব হোটেলই পুরো বুক থাকে। আমরা এ সময়েই রুম দিতে পারছি না। কোনো উৎসবের সময়ে আরও হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া পর্যটকের মানও বেড়েছে।
এ অবস্থায় পর্যটকদের আধুনিক সুবিধার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণ প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে পরিকল্পিত উন্নয়নের দাবি তাদের।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে পর্যটনের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী হয়। পাশাপাশি সরকারও যাতে সহায়তা দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় ছোট বড় মিলিয়ে দেড়শো হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, গত বছর ১২ লাখেরও বেশি পর্যটকের আগমণ ঘটে কুয়াকাটায়। তবে এ বছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার এ সংখ্যা দ্বিগুণেও বেশি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।