শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও শতভাগ বই পায়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চল নয়, রাজধানীর স্কুলগুলোতেই পৌঁছায়নি শতভাগ বই।
এ ব্যাপারে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, এরই মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে। অল্পকিছু বই বাকি আছে। সেগুলোও দু-এক দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে।
বই না পেয়ে বিড়ম্বনায় যশোরসহ বেশ কয়েকটি জেলার শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি শ্রেণিতে পুরনো বই দিয়েই চলছে পাঠদান। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায়নি অধিকাংশ বই। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়া এই দুই শ্রেণিতে নেই কোনো পুরনো বইও। তাই বিঘ্নিত হচ্ছে পাঠদান।
শিক্ষার্থীরা বলছে, সব বই এখনো হাতে না পাওয়ায় পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
শিক্ষকরা বলছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই পেয়েছি। কিন্তু অন্যান্য শ্রেণির সব বই পাইনি। যেসব বই পাইনি, সেগুলোর বিপরীতে পুরনো বই দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।
খোদ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে মাত্র দুই থেকে তিনটি বই দিয়েই চলছে পাঠদান। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইট থেকে বইয়ের পিডিএফ ভার্সন ডাউনলোড করে চলছে পড়াশোনা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড স্বীকার করেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চলতি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে শতভাগ ছাপার কাজ।
এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে লিখিত পাঠ্যবইয়ের নানা অসংগতি দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনসাপেক্ষে আগামী বছর সংশোধিত নতুন সংস্করণ আসবে বলে জানান অধ্যাপক মশিউজ্জামান।