1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে: প্রধানমন্ত্রী | Bastob Chitro24
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারই মেয়াদ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূবরী হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীর জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত দুজন চেয়ারম্যানকে শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

একই অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্যদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে কোনোবারই সুস্থভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়নি। একমাত্র ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২০০১ সালে যখন ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়, একমাত্র আমি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বঙ্গভবনে ক্ষমতা দিয়ে চলে আসি। ওই একটিবারই শাস্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। আর কখনও হয়নি।
এ সময় স্থানীয় সরকারগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর লক্ষ্য একটাই যেন তৃণমূলে মানুষের সার্বিক উন্নতি আমরা করতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট লেখা আছে, পল্লী উন্নয়ন, কৃষিবিপ্লব এগুলো যেন ব্যাপকভাবে করা হয়। গ্রামের অর্থনীতিকে যত বেশি শক্তিশালী করা যাবে, গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যত বেশি বাড়ানো যাবে, আমাদের শিল্পায়ন এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতও সুবিধা হবে। সেভাবেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, গ্রাম ও শহরের মানুষের জীবনযাত্রার যে বৈষম্য রয়েছে, সেই বৈষম্য দূর করা।


তিনি আরও বলেন, একটা দেশ যখন উন্নত হয় কিছু লোক হয়তো আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হয়। কিন্তু সেই সঙ্গে যদি ‍তৃণমূলের মানুষের উন্নতিও যদি করা যায়, তবে তারাও তাদের জীবনের মান উন্নত করতে পারবে। আজ (বুধবার) সকালেই ১০০টি সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করলাম। এর আগে ১০০টি সেতু একসঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে। সারা দেশে আমরা সড়ক, নৌ, রেল যোগাযোগ এবং বিমান যোগাযোগ সবকিছুই উন্নত করেছি।

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতারের স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আমাকে যখন গ্রেফতার করে সংসদ ভবনের পাশে একটি বাড়িতে একটা আটকে রাখা হয়েছিল, আমি সেই সময় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য পরিকল্পনা লিখে রেখেছিলাম। কত সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ, কত সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার বাড়বে, কত সালের মধ্যে চিকিৎসা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব, স্যানিটেশন, রাস্তাঘাট এসব কবে করব সব নোট করে রেখেছিলাম।
 
‘আমরা যে রূপকল্প ২০২১ আমরা ঘোষণা করেছিলাম এটি ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের বছর। সে হিসেবেই আমার লক্ষ্য ছিল এই বছরে বাংলাদেশের আরেক অর্জন করা, অর্থাৎ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। আমরা সেটা করতে পেরেছি’, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে আন্দোলনের ফলে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে হয়েছিল। ২০০৬ সালে নির্বাচন ঘোষণা করা হয় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে, সেটি দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। ২০০৭ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটিও কিন্তু বাতিল হয়। পরে দুই বছর পর ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে জনগণ আমাদের ভোট দেয় এবং আমরা ক্ষমতায় আসি। এরপর থেকে আমার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নতি করতে পেরেছি।


দেশে খাদ্য উৎপাদনে আরও বেশি জোর দেয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা খাদ্য উৎপাদন নয়, আমদানির দিকে তাদের নজর ছিল। কারণ সেখানে ব্যবসা ছিল। কিন্তু আমরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদনের নীতি নিয়েছি, কারও কাছে ভিক্ষা নয়। বরং পারলে অন্যদের সাহায্য করব।

‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কী দিয়ে এই দেশ গড়বেন? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার মাটি আছে উর্বর, আমার মানুষ আছে’। আমিও এই কথাটি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি,’ যোগ করেন তিনি।  

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করছি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদেরও দায়িত্ব আছে মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খোঁজ নেয়ার। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রামকে গুরুত্ব দিয়েছি। ফসল উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। আবার কিছু অঞ্চল ঠিক করে দিয়েছি যেন শিল্পায়ন হয়, কিন্তু কৃষিজমি যেন নষ্ট না হয়। জনপ্রতিনিধিদের এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।

দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলমত কোনো বিষয় না, আমি মানুষকে গণ্য করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে একটি মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। আর কী করলে ভালো হবে, আপনারা (জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান) সেটা দেখবেন। এ দেশের কোনো মানুষ দরিদ্র থাকুক, আমি সেটা চাই না।’

এ সময় নিজের জন্য নয়, নির্বাচনে ভোট দেয়া মানুষের জন্য কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি