1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু ভর্তি | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু ভর্তি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন বয়সি রোগীর ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে রাতে শীত, দিনে গরম ও মাঝে বৃষ্টির কারণে ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে নানা বয়সি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীদের সংখ্যায় বেশি। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় অভিভাবকরা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন হাসপাতালে।

সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক ও নার্সদের। সাধারণ বেডে ১০০ জন রোগীর চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিদিনই অতিরিক্ত রোগী থাকছে প্রায় ৩০-৪০ জন। এতে ওয়ার্ডগুলোতে জায়গা না দিতে পেরে অনেক রোগীর জায়গা হয় হাসপাতালের মেঝে অথবা বারান্দায়। অন্যদিকে
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ২০টি। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেশিরভাগ সময়ই ৫০ অধিক থাকে। এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড ১০টি হলেও রোগীর সংখ্যা ৪০। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত বেড খালি না থাকায় অতিরিক্ত রোগীকে হাসপাতালের বারান্দায় রেখে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

এ ছাড়াও চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ নিয়ে নানা অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিবা খানম বলেন, অতিরিক্ত রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। আমাদের ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী হওয়ায় তাদের বেড দিতে পারছি না অনেক সময়। এতে রোগীরা খেপে উঠেছে।
১০০ শয্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা. রাজেশ মজুমদার বলেন, আবহাওয়াজনিত  ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে মায়েদের সচেতন হতে হবে। বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাসি কিংবা ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ানো যাবে না। শিশুদের হাত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি শরীরে অতিরিক্ত ঘাম জমাতে যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমালেও যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের সুস্থ রাখতে পরিবারের সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। তারপরেও যদি সুস্থ না হয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অথবা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি।

১০০ শয্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবহান বলেন, শীতের থেকে হঠাৎ গরম ও বৃষ্টি কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে, এতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সীমাবদ্ধতার বাইরে রোগী হওয়ার কারণেই হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওষুধের সাপ্লাই রয়েছে শুধু জটিল রোগীর ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়।

গতে এক মাসে আবহাওয়াজনিত ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে শরীয়তপুর ১০০ সয্য হাসপাতলে ভর্তি হয়েছে অন্তত ছয় শতাধিক শিশু।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি