1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন অসংখ্য বাস | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন অসংখ্য বাস

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

সড়কে প্রতিদিন ঝরছে প্রাণ। খবরের নিয়মিত শিরোনাম হলেও তোয়াক্কা নেই কারো। রাজধানীতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ফিটনেসবিহীন বাস। নিরুপায় সাধারণ মানুষ। বারবার সতর্ক করা হলেও নির্দেশনা মানছেন না মালিকপক্ষ। জনগণের জীবনের নিরাপত্তায় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

রাজপথে চলছে সেন্ট্রাল পরিবহনের একটি বাস। গাবতলী থেকে সদরঘাটের রাস্তায় যার একচেটিয়া দাপট। রাজপথের এই রাজার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। নেই লুকিংগ্লাস, দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে হেডলাইট, কোথাও আবার বেরিয়ে আছে টিনের ভাঙা অংশ। লুকিং গ্লাসের অভাব পূরণ করতে চলন্ত বাসেই, স্টিয়ারিং এ বসে বারবার জানালা দিয়ে পেছনে তাকাচ্ছেন চালক। তবুও না হলে, হেলপার তো আছেনই।

তবে ফিটনেস না থাকাকে কোন সমস্যা মনে করেন না পরিবহন শ্রমিকরা।

গাড়ির চালক বলেন, আমার এই কালারের আরেকটি গাড়ির লুকিং গ্লাস এই মাত্র ভেঙ্গেছে। তবে লুকিং গ্লাস না থাকলে তো সমস্যা হয়। গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে একটা গাড়ি আরেকটি গাড়িকে মেরে দেয়।

পরিবহনের এসব সমস্যা নিয়ে নিরুপায় সাধারণ জনগণ। তারা বলেন, গাড়িটা পুরা ভাঙ্গাচুরা আর যে যেভাবে পারছে সেভাবে যেখানে সেখানে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আবার গাড়ি ব্রেক করলেও আমাদের শরীরে এসে লাগে।

দিন গড়িয়ে ঘনিয়ে আসে রাতের আধার। আর এ রাতের আধারে এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয় অপেক্ষাকৃত ছোট যানবাহনগুলো।

ছোট যানবাহনগুলোর চালকরা বলেন, অনেক সময় এসব বাসের নাম্বার প্লেট থাকেনা তাই পুলিশ সহজে ধরতে পারেনা। তারা ডানে যাবে না বায়ে যাবে সেটা কোনোটাই বুঝা যায়না। তারা যেভাবে খুশি সেভাবে ঢুকিয়ে দেয়।

কোনো ভাবেই কমানো যাচ্ছে না ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ির সংখ্যা। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত ছয় বছরে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ। যার অন্যতম এক কারণ আনফিট যানবাহন। তবে, এই সমস্যা সমাধানে কি করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা?

পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, আনফিট গাড়ির জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়। আর এ জন্য বিআরটিএ’র ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা উনাদের অতীতেও সহযোগিতা করে আসছি ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করব।

সমস্যা সমাধানে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক  সাইফুন নেওয়াজ বলেন, রাস্তায় যখন এসব গাড়ি চলবে তখন পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটদের চেক করা যে গাড়ির ফিটনেস আছে কিনা তা না হলে গাড়ি ঠিক করে তারপর রাস্তায় নামার অনুমতি দিতে হবে।

জনদুর্ভোগ এড়াতে মালিকপক্ষকেও সচেতন হওয়ার আহবান জানান এ বিশেষজ্ঞ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি