আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সামনে রমজান। অনেক পত্রিকায় অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। রমজানের কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। সংকট হবে না।’
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে সমস্যা নেই। এলসি খুলতেও বাধা নেই। এলসি নিয়ে যারা কারসাজি করতে চায়, সমস্যাটা হচ্ছে তাদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজানে ছোলা, চিনি, খেজুর, ডাল, তেল পর্যাপ্ত আছে। আরও কেনা হচ্ছে। ১৯ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে।’
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে রমজানে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
তবে বিদেশ থেকে আমদানি পণ্যের পরিবর্তে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ব্যবহারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ দেশেই এখন অধিকাংশ পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে, যাতে আমরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রফতানি করতে পারি।’
তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান আবারও।
শেখ হাসিনা বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব, কর্তব্য। অগ্নিসন্ত্রাসীদের নিয়ে তারা (বিএনপি) সভা-সমাবেশ করে বলে আমরা আতঙ্কিত হই, তারা কখন কোথায় অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা করবে, নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারবে। সেটা যেন তারা করতে না পারে সেজন্য আমাদের দল, দেশবাসী সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কেউ কিছু বলবে না। তবে আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা কিংবা জঙ্গীবাদের কোন চেষ্টা করা হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে সংবিধান লংঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে অনির্বাচিত সরকার গঠন করে জিয়াউর রহমান। তখন দেশে কী হয়েছে? একের পর ক্যু-পাল্টা ক্যু হয়েছে, শত শত সামরিক অফিসারকে হত্যা-গুম করা হয়েছে। জিয়ার পর তার পথ ধরে এরশাদও অনির্বাচিত সরকার করেছিল।
তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের আমলে দেশের কী কোনো উন্নয়ন হয়েছে? ২৯ বছর যারা এভাবে ক্ষমতায় ছিল তারা দেশের জন্য কী করেছে? একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন প্রথমে মহাজোট, পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
আড়িপাতা নিয়ে সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, যারা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়, তারা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে কীভাবে বোমা বানাবে, কীভাবে নাশকতা চালাবে ইত্যাদি কনটেন্ট দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরতো মোকাবিলা করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আড়িপাতায় আপত্তি কেন? আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতা রুখতে তা করছে। বিশ্বের সব দেশেই এই ব্যবস্থা আছে।