যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আসিফ (১৯), দুর্গাপুর গ্রামের নাজির আলীর ছেলে আরমান (১৯) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে সালমান (১৯)। তারা সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
সালমানের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, এক মোটরসাইকেলে করে তিন সহপাঠী ঝিকরগাছা থেকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট স্টোন ইটভাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দূরপাল্লার একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরমান ও আসিফ মারা যান। সালমানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরমানের ভাই শিমুল হোসেন বলেন, ওরা পাঁচ বন্ধু দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঝিকরগাছা থেকে বাড়ি ফিরছিল। নতুনহাট এলাকায় আসলে একটি মোটরসাইকেলকে বাস ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে আমার ভাই আরমানসহ দুজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আরেকজন হাসপাতালে মারা গেছে। ওদের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মোটরসাইকেল আরোহী তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘উঠতি বয়সী ছেলেরা দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এ গতির কারণে আজ তিন কলেজছাত্রের প্রাণ গেল। আমাদের অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সী সন্তানদের চাওয়া মাত্র মোটরসাইকেল কিনে দেয়া উচিৎ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিভাবকদের জানতে হবে সন্তান বন্ধুদের সঙ্গে কী করছে, নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আর অকালে সড়কে প্রাণ ঝরবে না।’