1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মৌসুমের শুরুতে সার নিয়ে কারসাজি, চড়া দামে বিক্রি | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

মৌসুমের শুরুতে সার নিয়ে কারসাজি, চড়া দামে বিক্রি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় মৌসুমের শুরুতেই সার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী ও ডিলারদের বিরুদ্ধে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সারের বস্তা প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় সারের মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত।

নওগাঁ সদর উপজেলার শ্যামপুর নদী চড়ে দুসপ্তাহ আগে বপন করা আলু বীজ থেকে গজিয়ে ওঠা সতেজ চারাগুলো যতই বড় হচ্ছে ডানা মেলছে চাষির স্বপ্নও। নিবিড় পরিচর্যায় স্বপ্নের ফসলে চাষিদের দুচিন্তা চড়া দরে কেনা সার আর ফসলে বাড়তি খরচে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে।

সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দর ২২ টাকা বেঁধে দেয়। কিন্তু নওগাঁর মাঠ পর্যায়ে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী সার। যদিও কিছু দোকানে সার মিলছে তবে নানা সংকট দেখিয়ে ২২ টাকার সার ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ডিএপি, এমওপি ও ইউরিয়া সারের এ জেলায় বার্ষিক চাহিদা ১ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। দাফতরিক কাগজে সারের কোনো সংকট না থাকলেও মাঠ পর্যায়ের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। চাষিদের অভিযোগ ব্যবসায়ী ও ডিলারদের কারসাজিতে চড়া দরে সংগ্রহ করতে হচ্ছে সার।

নওগাঁ সদর উপজেলার চাকলা গ্রামের চাষি আব্দুল জব্বার জানান, ১০ কাটা জমিতে আলু লাগানোর সময় ১০ কেজি ইউরিয়া সার জমিতে দিয়েছি। কিন্তু সেচ দেওয়ার পর আরও অন্তত ৩০ বার সার দিতে হবে। বাড়তি দরে সার কিনতে হিমসিম খাওয়া কথা জানান একাধিক কৃষক।
বিএডিসি ২০৫ ও বিসিআইসির ১২৭ নিবন্ধিত ডিলার জেলায় সার সরবরাহের কাজ করছে। সার উত্তোলন ও সরবরাহে নানা অজুহাতে অধিক দাম নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসব ব্যবসায়ীরা বিরুদ্ধে। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে অসাধু খুচরা ব্যবসায়ীরা।

নওগাঁ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা নজর রাখছি যারা বেশি দরে সার বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আবু হাসান বলেন, আসলে সারের কোনো সমস্যাই নেই। মানুষ বাড়তি সার সংগ্রহ করছে। আর এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অধিক মুনাফার সুযোগ যারা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে রবি ফসল ও ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বিপরীতে সারের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি