1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মাদারীপুরের হাটবাজার মিনিকেট চালে সয়লাব | Bastob Chitro24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

মাদারীপুরের হাটবাজার মিনিকেট চালে সয়লাব

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

সরকার নিষিদ্ধ করলেও মাদারীপুরের হাটবাজারে সয়লাব মিনিকেট চাল। মোটা চাল বস্তায় ভরে মিনিকেট নামে বিক্রি করায় প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন কোম্পানির নামে এ চাল ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার তাঁতিকান্দা এলাকায় পলাশ অটোরাইস মিল। মিলের ভেতরেই দেখা গেল বিভিন্ন কোম্পানির নামে শত শত বস্তা মিনিকেট চাল। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোটা চাল বস্তায় ভরে মিনিকেট চাল নামে বাজারজাত করছে মালিকপক্ষ।

এদিকে টেকেরহাট চালের গালায় সততা ট্রেডার্স, একতা খাদ্য ভান্ডার, সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন পাইকারি দোকানে মজুদ শত শত বস্তা মিনিকেট চাল। একই চিত্র শহরের বিসিক শিল্প নগরীর পুরানবাজার, চরমুগরিয়া, মোস্তফাপুর, কালকিনি, শিবচরসহ জেলার অধিকাংশ হাটবাজারের। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণেই এই অবস্থা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

মাদারীপুর পৌরসভা বাজার চাল কিনতে আসা ক্রেতা জহির উদ্দিন বলেন, মোটা চাল বেশি দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছি। সরকারের নিয়ম আর আইন কোনো ব্যবসায়ীই মানছেন না। প্রতিটি বস্তায় মোটা চাল, কিন্তু প্যাকেটে লেখা মিনিকেট চাল। আমরা এর প্রতিকার চাই।

টেকেরহাট চালের গালার গোলাম মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদ হাসান মুকিন বলেন, সারা বাংলাদেশেই এই চাল পাওয়া যায়। সরকার যদি ভারত থেকে মিনিকেট চাল আমদানি বন্ধ করে তাহলে কেউ আর চাল কিনতে পারবে না।

পলাশ অটো রাইস মিলের ম্যানেজার সালাউদ্দিন খানের দাবি, মিল মালিক নয়; ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের চাপে মোটা চাল প্যাকেটজাত করে বাজারে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কারণেই অনেকটাই জিম্মি তারা।

মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির বলেন, জেলায় বৈধ-অবৈধ মিলে ২০টি চালের মিল রয়েছে। আর পাইকারি দোকানের সংখ্যা কয়েকশ’। ভেতরে মোটা চাল, অথচ বস্তায় লেখা মিনিকেট চাল। এতে বাড়তি দামে চাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এর থেকে আদৌও মুক্তি মিলবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, অভিযোগ পেলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকার বিসমিল্লাহ অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়ে জেলা-জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি