1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মনপুরায় ৪০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

মনপুরায় ৪০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত ক্ষতবিক্ষত করে রেখে গেছে ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে প্রায় ৪০ মিটার বেড়িবাঁধ। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজারসহ ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জলোচ্ছ্বাসের চেয়ে বর্তমান বাঁধের উচ্চতা কম হওয়ায় ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি গড়িয়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরসহ কয়েকটি গ্রাম। সাগরকূলের বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড়ের ছোবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও জলোচ্ছ্বাসে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বিধ্বস্ত বাঁধগুলো দ্রুত নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। এ ধরনের জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় দ্রুতই টেকসই বাঁধসহ নদীর তীরে ব্লক বসানোর কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

২৪ অক্টোবর উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভোলার মনপুরা উপজেলার সোনারচর এলাকায় ৪০ মিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে আরও তিন কিলোমিটার বাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজারসহ ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতির মুখে পড়ে উপজেলাবাসী।

ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে রেখে যায় দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর, উত্তার সাকুচিয়ার মাস্টারহাট, খাড়িরখাল হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনাচর ও চর যতিন গ্রামের সাড়ে ৩ কিলোমিটার বাঁধ। এসব বাঁধের অনেক স্থানেই ২ থেকে ৩ ফুট ছাড়া বাকী অংশের মাটি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। বাঁধের এমন নাজুক অবস্থার কারণে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। নতুন করে কোনো জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানলে সাগরের জলে ভাসতে হবে মনপুরার মানুষকে। গুনতে হবে বড় ধরনের মাশুল।

মনপুরার রহমানপুরের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম জানান, বাঁধের বর্তমান যে অবস্থা মেঘনার সামান্য জোয়ারেই ধসে যেতে পারে। তাই দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সিত্রাংয়ে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এমন জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য কমপক্ষে ১৪ ফুট উচ্চতার বেড়িবাঁধ প্রয়োজন। কিন্তু মনপুরার ৫২ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারের উচ্চতা ১০ ফুটের নিচে।
ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কার না করলে আসন্ন পূর্ণিমায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজল।

বন্যার পরপর দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে মনপুরাকে রক্ষায় শিগগিরই  ১ হাজার ৯২ কোটি টাকার বাঁধ ও ব্লক স্থাপনের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। মনপুরাসহ উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

মনপুরা উপজেলার সাড়ে ৩ কিলোমিটার ছাড়াও মেঘনা পাড়ের তজুমদ্দিন উপজেলায় ৪৫০ মিটার ও লালমোহন উপজেলায় ২০০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি