বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর একটি প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত। অনিরাপদ গর্ভপাতজনিত মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য ‘মাসিক নিয়মিতকরণ’ (মিনিস্ট্রুয়াল রেগুলেশন সংক্ষেপে এমআর) অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শুধু নারীই নন, পুরুষদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ উইমেন’স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চেয়ারপারসন নাসিমনু আরা হক মিনু।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ উইমেন’স হেলথ কোয়ালিশন (বিডব্লিউএইচসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থাটির গত ৪০ বছরের সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ অনুষ্ঠান ‘মিট দ্য প্রেস’-এ এসব কথা বলেন তিনি।
নাসিমনু আরা হক বলেন, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অনিরাপদ এমআর। তাই একজন গর্ভবতীকে মাসিক নিয়মিতকরণের আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। মাসিক নিয়মিতকরণের ফলোআপ করা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। কোনো জটিলতা বা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।
সংস্থাটির ভাইস চেয়ারপারসন জাহানারা সাদেক বলেন, “১৯৯০ সালে ‘এমআর’ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তখন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি বলে আজ কথা বলতে পারছি। সে সময় ট্যাবু (সামজিকভাবে যেটি প্রকাশ্যে বলা মানা) ভাঙাই ছিল চ্যালেঞ্জ। আজ অনেকটাই এগিয়েছি বলতে হবে, আমরা এখন মেয়েদের ‘মাসিক’ নিয়ে কথা বলতে পারছি। তবে এ কথা বলাতেই আমরা সীমাবদ্ধ নই। আমরা এখন কাজ করছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র নারীদের নিয়ে।”
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শরীফ হেলাল বলেন, ‘দেশের বিভন্ন স্থানে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করে বিপুলসংখ্যক জনগণকে নিরাপদ এমআর, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, শিশু স্বাস্থ্য, টিকাদান কর্মসূচিসহ সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনতে পেরেছি। এমনকি নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, বাল্যবিবাহরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
এ জাতীয় আরো খবর..