1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
বাংলাদেশের গবেষণা খাতে সংস্কার প্রয়োজন: ইরির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের গবেষণা খাতে সংস্কার প্রয়োজন: ইরির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গবেষণার প্রয়োজন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা সরঞ্জামের দিকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইরি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. হোমনাথ ভান্ডারী।

শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি হোটেলে গবেষণা বিষয়ে দু’দিনব্যাপী এক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) ‘এগ্রি (এক্সিলারেটেড জেনেটিক গেইন ইন রাইস) নেটওয়ার্কস ট্রায়াল ২০২৩’ শীর্ষক বার্ষিক এ অগ্রগতি সভার আয়োজন করেছে।

সভায় হোমনাথ ভান্ডারী বলেন, ‘টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গবেষণা ও মানবসম্পদ এবং ভৌত সুবিধার উন্নয়নসহ সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশের গবেষণা খাতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন জিনোমিক্স, ফেনোমিক্স, প্রোটোমিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জিনোম এডিটিং, স্পিড ব্রিডিং, অটোমেশন, ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইরির সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বৈচিত্র্যময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন অভিনব উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের এখনই উপযুক্ত সময়। ব্রি, বিনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষকদের সহায়তা করছে ইরি।

তিনি আরও বলেন, ‘এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধানের জেনেটিক গেইন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে মাঠে প্রচলিত বেশিরভাগ জনপ্রিয় ধানের জাতের বয়স ২৮-৩০ বছরের বেশি। অনেকগুলো নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলেও সেগুলো আগের জনপ্রিয় জাতগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়নি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। আরও উপস্থিত ছিলেন ইরি ফিলিপাইনের বিজ্ঞানী ড. সংকল্প ভোসালে।

ইরি বাংলাদেশের সিনিয়র রাইস ব্রিডার এবং এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন এবং কর্মশালার এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশে ইরি-ব্রি, অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের গত এক বছরের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে ইরি ও ব্রি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নত জাতের ধান গবেষণার জন্য এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে কর্মশালায় মোট ১১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রি মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘বিএমজিএফ’র আর্থিক সহায়তায় এবং ইরির কারিগরি সহায়তায় এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনের ধানের জাতে জেনেটিক গেইন (ফলন) অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদামাফিক ধানের জাত উদ্ভাবনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে।’

সভায় ইরি, ব্রি, বিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি