কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোড এলাকায় তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার বিচার না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছনে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর আতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা করেছে। আমি ছাত্রলীগের নামধারী ওইসব হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। সঠিক বিচার না পেলে আমি আত্মহত্যা করব।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৩টার দিকে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ তার খালা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। পিটিআই রোড এলাকায় খালা বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের আঘাতে চ্যালেঞ্জের মাথা, মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলার ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা চ্যালেঞ্জের রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান এবং সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..