জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ বিয়ে করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মেহেদী হাসান জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতী পাড়া কেন্দুলী গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার জানান, গত ২০ জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মেহেদী হাসানের পঞ্চম স্ত্রী জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন, তার স্বামী মেহেদী হাসানসহ লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪) নিজেদের ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন তারা।
‘এ ছাড়াও অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই, আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করতেন। অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং ঘটনার সত্যতা পায়।’
তিনি আরও জানান, সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে অভিযোগকারী নারীর ভাই র্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলেন, সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী তার শ্বশুরবাড়িতে জয়পুরহাট সদর থানাধীন জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগ্নে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন।
এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় প্রতারক চক্রের অপর দুই সদস্য লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে।