সিলেট পর্বের ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে থাকা ঢাকা ডমিনেটরসের মুখোমুখি হয়েছিল চার নম্বরে থাকা রংপুর রাইডার্স। জয় পেলেই প্লে অফে জায়গা পাকা করার লড়াইয়ে অবস্থানটা আরেকটু মজবুত হতো তাদের। সুযোগ নষ্ট করেনি নুরুল হাসান সোহানের দল। এই জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লাকে ধরে ফেলল রংপুর।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিনের প্রথম খেলায় ঢাকার বিপক্ষে জয় পেয়েছে রংপুর। এদিন টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। ব্যাট করতে নেমে উসমান গনির ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে নাসির হোসেনের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেখ মেহেদী হাসানের দারুণ অর্ধশতকে ভর করে ৫ উইকেট জয় পায় রংপুর।
গনির ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। গনি ছাড়া ঢাকার হয়ে কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অধিনায়ক নাসির করেছেন ২২ বলে ২৯ রান। আর মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
রংপুরের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান এবং রকিবুল হাসান। দুজনই একটি করে উইকেট পেলেও তাদের ইকোনমি ছিল দারুণ। আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই পেয়েছেন ২ উইকেট।
১৪৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে রংপুর দ্বিতীয় ওভারেই হারায় নাঈম শেখের উইকেট। ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সালমান ইরশাদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে নিয়ে এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়েন শেখ মেহেদী হাসান। ৮.৩ ওভার পর্যন্ত স্থায়ী জুটিতে ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন তারা। ২৮ বলে ২৯ রান করা রনি তালুকদারকে তাসকিনের ক্যাচে পরিণত করে জুড়টি ভাঙেন আমির হামজা। ৫ চারের মারে ইনিংসটি খেলেন।
এরপর শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। দুজনই থামেন ৬ রান করে। শোয়েব মালিককে ফেরান সালমান। সোহানের উইকেটটি নেন সৌম্য। একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও ওপর পার্শ্বে ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন মেহেদী। ৩১ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক।
রংপুরের সংগ্রহ যখন ১২৩ রান তখন আল আমিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী। তার আগেই অবশ্য ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন ঢাকাকে। ৪৩ বলে খেলা তার ৭২ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।
এরপর জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন দলের দুই বিদেশি রিক্রুট মোহাম্মদ নেওয়াজ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ১৫ বলে ১৭ করেন নেওয়াজ। ৮ বলে ১২ করেন ওমরজাই।
ঢাকার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন সালমান ইরশাদ। এছাড়া আমির হামজা, আল আমিন ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট পান।
এই জয়ে ৮ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে রংপুর। পয়েন্ট সমান হলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরেই থাকল কুমিল্লা।