টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
গত দুই বছর পলাতক থাকার পর সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই ব্যক্তি হলেন- মো. মজনু (৬১) ও তার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩১)। তাদের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর আসামি জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে (২৭) যমুনা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। গৃহবধূকে হত্যা ও মরদেহ গুমে তাকে সহায়তা করে তার বাবা মজনু। ঘটনার পর তাছলিমার বাবা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মজনু ও জহুরুলকে গ্রেফতার করে।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা যৌতুক না দেয়ায় তাছলিমাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিকে মামলা চলাকালে জামিন পেয়ে তারা গা ঢাকা দেন। পরে দুজনে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি খান বাজার এলাকায় গরুর খামারে চাকরি নেন। সেখানেই পরিচয় গোপন করে থাকতেন দুজনে।
র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব সোমবার ভোরে তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনের নামে ভূঞাপুর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। বিকেলে তাদের ভূঞাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।