অনুমতি না থাকার পরও রাজধানীতে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে মালিবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। জামায়াত কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন: শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান (এসি নিউমার্কেট জোন), মো. বায়েজীদুর রহমান (এসি রমনা জোন), এসআই শহীদুল ওসমান মাসুম (রমনা থানা), এসআই সুবীর কুমার কর্মকার (রমনা থানা), এসআই হাবিবুর রহমান (রমনা থানা), এসআই মোহাইমিনুল হাসান (রমনা থানা), এএসআই কবির হোসেন (রমনা থানা), এএসআই মো. ফিরোজ মিয়া (রমনা থানা), কনস্টেবল সৌরভ নাথ (পিওএম পূর্ব) ও কনস্টেবল সাদী মোহাম্মদ (পিওএম পূর্ব)।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফারুক হোসেন বলেন, জামায়াতের গণমিছিলে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মগবাজার থেকে জামায়াতের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি মৌচাক মোড়ে পৌঁছলে পুলিশের বাধায় জামায়াত নেতাকর্মীরা কিছুটা পিছু হটে। পরে তারা মালিবাগের দিকে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোড়ে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। যদিও তাদের এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ।