1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
চলতি অর্থবছরেই পাতাল রেলের কাজ শুরু | Bastob Chitro24
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

চলতি অর্থবছরেই পাতাল রেলের কাজ শুরু

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

চলতি অর্থবছরের মধ্যেই রাজধানীর কমলাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত পাতাল রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিপো নির্মাণের কাজ নতুন বছরের প্রথমেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দীক।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এমআরটি লাইন-১ এর পিতলগঞ্জ ডিপোর এলাকার ভূমি উন্নয়নবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় মেট্রোরেল-১ এর ডিপো নির্মাণে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই কমলাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পতাল রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এ প্রকল্পটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে ডিপো নির্মাণের কাজ নতুন বছরের প্রথমেই শুরু হবে। দেশের প্রথম পাতাল রেল মাটির ৩০ থেকে ৭০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে, যা কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। শুধু স্টেশন ওপেন কাট পদ্ধতিতে করা হবে।

এ রেলপথের কাজও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।

কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এ ভূমির চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

চুক্তিপত্র থেকে জানা গেছে, ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছটি জোনে বিভক্ত করা হবে। এ কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল ও প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এ এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-২-এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১-এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এ ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।

ভূমির চুক্তি মূল্য ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১-এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।

এদিকে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এমআরটি লাইন সিক্সের কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। এবার অপেক্ষা উদ্বোধনের। আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকেই হবে মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা বলেও জানান এমআরটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, আমরা এমআরটি-৬ এর উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সময় চেয়েছি। আশা করছি ওই সময়ে যেকোনো দিন প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দেবেন।

আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলমান। এ বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল চালুর কথা জানালেও শুরুতে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালের জুনে মেট্রোরেল প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ান হয়েছে।

প্রথম দিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। মেট্রোরেলের পথ সম্প্রসারণ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণ, কিছু স্টেশনে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ, পরামর্শকের পেছনে ব্যয় বৃদ্ধি, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বাড়তি ভ্যাটসহ বিভিন্ন উপকরণ যুক্ত হয়েছে। এজন্য প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। তারা ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা দিচ্ছে। সরকার খরচ করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি