রাজধানীর গুলশান-২ এ আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদরদফতরে মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।
তিনি বলেন, গুলশানে আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। সদস্য হিসেবে থাকবেন উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স), ঢাকার সহকারী পরিচালক, গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক ও স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এ দিকে, প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে গুলশানের বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক জন। এছাড়া শিশু ও নারীসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনটির সাত তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয়। সবশেষ মোট ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, মেয়র আতিকুল ইসলাম রাস্তায় মানুষের ভীড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি শুধু অনুরোধ করবো এই বিপদের সময় জনগণ যেন রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে না থাকে। এটা আমাদের উদ্ধারকাজে অনেক পেছনে ফেলেছে। না হলে এই উদ্ধারটা (আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা) আমরা দুই ঘণ্টা আগে করতে পারতাম।
মেয়র বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি এবং সবাইকে অনুরোধ করেছিলাম বের হওয়ার জন্য। আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী- সবাই অংশ নিয়েছে।
পানির সংকটের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, যে বাড়ি করেছে সেই বাড়িতে কতটুকু পানি থাকে, পাশের বাসায় কতটুকু পানি থাকে সেটা আমরা বলেছি। যিনি বাড়ি করবেন বাড়ির নিচে পর্যাপ্ত পানি থাকতে হবে। কিন্তু এগুলো কেন হয়নি, কী হয়নি- এগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পানি দিয়েছি। সেনাবাহিনী, ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়েছে। সবাই আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো দরকার।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ওই ভবনে কী গাফিলতি ছিল সেগুলো দেখা হবে। আগুন লাগার বিষয়ে মামলাও করা হবে।