1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা টমেটো চাষিরা | Bastob Chitro24
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিজেপি ৪০০ পার করলে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে যাবে ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন বাজারভিত্তিক সুদহারে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের পারিবারিক সংগঠনের সন্ধান ১৩৯ উপজেলায় দলীয় প্রতীকহীন ভোট আজ সহিত্যিক মীর মোশাররফ স্কুলের প্রাচীর সংস্কার হচ্ছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ জারি গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসজনিত বিদায় অনুষ্ঠান রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্যাপ বিতরণ

লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা টমেটো চাষিরা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩

চলতি বছরে টমেটোর ফলন ভালো না হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জামালপুরের টমেটো চাষিরা।

প্রতি বিঘায় টমেটো চাষ করতে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাতে ফল আসে ২০০ থেকে আড়াইশ মণ। জমি তৈরি, তেল ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় টমেটো চাষে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। আর ৪-৫ চারা লাগানোর পর ফলনও নেমে এসেছে অর্ধেকে। এ বছর লাভের আশা ছেড়ে খরচ তোলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।

জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চল শরিফপুর, তুলশীচর, বারুয়ামারি, টিকরাকান্দি, নরুন্দি, নান্দিনায় এ বছর টমেটোর চাষ হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর টমেটোর ফলন ভালো না হওয়ায় খরচ তোলা নিয়ে হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা। এ বছর চরাঞ্চলে বারী, বিউটিফুল, বিউটিফুল-২, বিউটিফুল-৩, এবং বিউটিফুল প্লাস জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুরসহ বিভিন্নস্থান থেকে পাইকাররা এ অঞ্চলের টমেটো নিয়ে যাচ্ছেন।

সদর উপজেলার চরযর্থাথপুরের কৃষক লিটন মিয়া জানিয়েছেন, এ বছর টমেটো চাষে তাদের দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। চার থেকে পাঁচ বার চারা লাগিয়েও ফলন আশানুরূপ পাওয়া যায়নি। অতি বৃষ্টি কারণে চারা মরে গেছে। আর জমি তৈরি, সার কিটনাশক সবকিছুতে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। শুরুতেই প্রতি মণ টমেটো বিক্রি করেছেন ১০০০ থেকে ১১০০  টাকায়। বর্তমান বাজারে টমেটোর দাম ভালো থাকলে খরচ উঠবে; না হলে লোকসানে পড়তে হবে।
লক্ষীরচরে টমেটো চাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, এবার ফলন কম, গত বছর প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৪০ মণ টমেটোর ফলন হয়। এ বছর এসেছে ১০ থেকে ১৫ মণ। এবার টমেটো চাষে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। তেল, কিটনাশক সারের দাম বেশি। গেল বার জমি তৈরিতে সাড়ে ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর সাড়ে ৪০০ টাকা লেগেছে। এর পর জমিতে ৪ থেকে ৫ বার চারা লাগাতে হয়েছে। আর অতি বৃষ্টির কারণে চারা রক্ষা করতে পারি নাই। প্রতি বিঘায় টমেটো চাষ করতে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাতে ফল আসে ২০০ থেকে আড়াইশ মণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা বলেন, জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলে টমেটোর চাষ সবচেয়ে বেশি। জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে টমেটো সরবরাহ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দেয়। এ থেকে টমেটো বাগান রক্ষায় কৃষি বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বছর জেলায় সবজির চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। আর টমেটোর চাষ করা হয়েছে এক হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি