ঢাকা অফিস:
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা চেয়েছিল তেহরান। এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইরানের কাছ থেকে আসা এ বিরল অনুরোধের খবর জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ইরান সরকার আমাদের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। আমরা তাদের স্পষ্ট করে জানাই যে আমরা সহায়তা দেব। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেকোনো বিদেশি সরকারের কাছ থেকে আসা অনুরোধে আমরা সাড়া দিয়ে থাকি। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিসটিক কারণে আমরা সহায়তা দিতে পারিনি।
এ বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।
রাতভর উদ্ধার কার্যক্রমের পর সোমবার হেলিকপ্টারের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, ছয়জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেল ২১২ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনো ইরান কোনো বক্তব্য দেয়নি।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি উচ্চপর্যায়ের একটি দলকে এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার আলী আবদুল্লাহি। দলটি ইতোমধ্যে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের এলাকায় পৌঁছেছে এবং কাজ শুরু করেছে। পুরো তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পরই ফল জানানো হবে।
তেহরান ওয়াশিংটনকে এ দুর্ঘটনার দায় দিতে পারে- এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে আছেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, এ দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। দুর্ঘটনার কারণ কী হতে পারে, সেটা নিয়ে আমি জল্পনা-কল্পনা করতে পারি না।
যুক্তরাষ্ট্র