চলতি বছর বসন্তের এ সপ্তাহে প্রথম কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই পিএইচডি গবেষক জানিয়েছেন, আগামী বুধ (১৫ মার্চ) থেকে রোববারের (১৯ মার্চ) মধ্যে বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত হতে পারে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ওই সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০ থেকে ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে। তাই ঝড় থেকে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হবে। তবে প্রচণ্ড রকমের ধূলিঝড় হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১৭ ও ১৮ মার্চ। এ ছাড়া ১৫ মার্চের আগেই ২-১টি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় চলতি সপ্তাহেই কালবৈশাখী আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়াসংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বুধবার থেকে কালবৈশাখীর আশঙ্কা তৈরি হবে। এ সময় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে।