পারস্পরিক অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করার শর্তে আগামী মার্চের মধ্যে পাকিস্তানে তেল ও গ্যাস বিক্রি করবে রাশিয়া। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, অর্জিত প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর ঐকমত্যের পরে তেল ও গ্যাস বাণিজ্য লেনদেন এমনভাবে গঠন করা হবে যাতে উভয় দেশের জন্য পারস্পরিক অর্থনৈতিক সুবিধা হয়। প্রক্রিয়াটি মার্চের মধ্যে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ইসলামাবাদে রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী নিকোলাই শুলগিন এবং পাকিস্তানের ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী সরদার আয়াজ সাদিকের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।
এর আগে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছিল, জ্বালানি সংকটে থাকা দেশটিতে কম দামে জ্বালানি তেল রফতানি করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল রফতানিতে ডিসেম্বর থেকে ইউরোপীয় সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা এবং ইইউ, জি-৭ এবং অস্ট্রেলিয়ার নির্ধারিত মূল্যসীমার পদক্ষেপের কারণে মস্কো উল্লেখযোগ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়া ঘোষণা করেছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মূল্যসীমা মেনে চলা বিদেশি দেশগুলোতে তারা তেল বিক্রি নিষিদ্ধ করবে।
এদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী ও আমদানিকারক দেশ ভারত মোট তেল আমদানির ২৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে আনে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। গত বছর মস্কো থেকে নয়াদিল্লিতে প্রতিদিন তেল আমদানি ১০ লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে যায়। এতে টানা তৃতীয় মাসের মতো ভারতের শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারকের অবস্থান ধরে রাখে রাশিয়া।
জ্বালানি চালান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ভরটেক্সা জানায়, ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো তেল আমদানি দিনে ১০ লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে যায়। এতে শীর্ষ তেল সরবরাহকারী সৌদি আরব ও ইরাককে পেছনে ফেলে টানা তৃতীয় মাসের মতো নয়াদিল্লির শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারকের অবস্থান ধরে রাখে মস্কো। বর্তমানে ভারতের মোট আমদানি করা তেলের ২৫ শতাংশই রাশিয়া সরবরাহ করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।