ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় একের পর এক বিদ্যুৎ অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। এতে অন্ধকার নগরীতে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) থেকে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় শীত শুরু হওয়ার ঠিক আগে কিছু উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত করেছে ইউক্রেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাংক এবং টর্চসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুতে চার্জ দিয়ে রাখতে ইউক্রেনীয়দের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা ও গ্রিড অপারেটর উক্রেনারহো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টার মধ্যবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করার পাশাপাশি বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ঠাণ্ডা আবহাওয়া শুরু হওয়ার পর আমরা আরও ঘন ঘন আপনাদের সাহায্য চাইতে পারি, এটিও বাদ দিচ্ছি না আমরা। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন সহকারী বলেছেন, লোকজন বিদ্যুতের ব্যবহার না কমালে ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনাও আছে।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সাগর ও স্থল থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে বলে দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তার দেশের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়েছে। দেশটি জানায়, মঙ্গলবারের হামলায় অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশজুড়ে ১১ শতাধিক শহর ও গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। এগুলো মেরামতে কাজ করছে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের মেয়র গণমাধ্যমে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সাবস্টেশনগুলো মেরামত করতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।