রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দামবৃদ্ধি ঠেকাতে এই খাতে ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। দেশটির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসন্ন শীত মৌসুমে গ্যাস সংকট সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওলাফ শলজ সরকার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জ্বালানি সংকটে নাকাল জার্মানি। এই মুহূর্তে শলজ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তার বিষয়, দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকা শীত মৌসুমে দেশকে গ্যাস সংকট থেকে রক্ষা করা।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দেশটিতে প্রতি ইউনিট গ্যাসে কমপক্ষে ১২ টাকা ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছ জার্মানির রেগুলেটরি কমিশন। একইসঙ্গে দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাক্তিপর্যায়ে বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দাম না বাড়ায়, সেই লক্ষ্যে সরকারের নেয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরে ওলাফ শলজ প্রশাসন। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই শিল্প-কারখানায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকার কাজ করছে বলেও জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘোষণা দেয়া হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি ইউরোর একটি প্রণোদনা প্যাকেজও। যেখানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে আড়াইশ’ কোটি ইউরো।
এদিকে, এমন তীব্র জ্বালানি সংকটের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের জার্মান কনস্যুলেটে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওলাফ শলজ প্রশাসন।
সোমবারের (১০ অক্টোবর) হামলার পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন জার্মান চ্যান্সেলর। এসময় ইউক্রেনের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেন তিনি।