1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
নির্বাচনকালীন সরকারসহ ১৫ দাবি চরমোনাই পীরের | Bastob Chitro24
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

নির্বাচনকালীন সরকারসহ ১৫ দাবি চরমোনাই পীরের

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ মতিউর রহমান পার্কে (গুলিস্তান পার্ক) আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। দাবি আদায়ে ৮ দিনের বিভাগীয় সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-যে কোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা ও বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা, মদসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ, কারান্তরীণ সব মজলুম আলেম এবং রাজবন্দির মুক্তি, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া ও তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা, নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি; রেডিও-টিভিসহ সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমের সবাইকে সমান সুযোগ এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা, সব রাজনৈতিক দলের জন্য সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও বাক-স্বাধীনতা উন্মুক্ত করা। দাবি আদায়ে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি হলো-১৩ মে রংপুর, ২০ মে বরিশাল, ২১ মে খুলনা, ২৭ মে চট্টগ্রাম, ৪ জুন রাজশাহী, ১০ জুন সিলেট ও ২০ জুন ময়মনসিংহ বিভাগে সমাবেশ এবং ১ জুলাই ঢাকায় গণমিছিল। মহাসমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই খ খ মিছিল নিয়ে গুলিস্তান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া সারা দেশ থেকে সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বাস, ট্রাক, লঞ্চ ও প্রাইভেট কার ভাড়া করে রাজধানীতে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলিস্তান এলাকায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। গুলিস্তান, শাপলা চত্বর, বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, ডা. মুহাম্মদ আক্কাস আলী সরকার, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সিনিয়র নেতা আতিকুল ইসলাম, মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। কেএম আতিকুর রহমান, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, ইসলামী যুব আন্দোলন সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল করীম আকরাম প্রমুখ। মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, সরকারের ভুল মুদ্রানীতি, শুল্কনীতি, আমদানি সিদ্ধান্তের অপরিণামদর্শিতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরনের দুর্ভিক্ষের জন্ম দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে। খাবারের জন্য মানুষ টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অর্থেই কৃত্রিম এবং তা বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও তাদের দলীয় লোকদের নির্লজ্জ লোভের ফসল। তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই দাম বাড়ে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে। সরকারি দলের সমর্থনপুষ্ট মধ্যস্বত্বভোগীরা স্তরে স্তরে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে। পথে-ঘাটে পুলিশ ও স্থানীয় মাস্তানরা চাঁদাবাজি করে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। অবিলম্বে দেশের খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ ও সংরক্ষণসহ প্রতিটি স্তরে মধ্যস্বত্বভোগীদের উৎপাত কঠোর হাতে দমন করতে হবে। টিসিবিকে শক্তিশালী করে দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সিন্ডিকেটবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, দশ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলে ক্ষতায় এসে আজ দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে সব সীমা ছাড়িয়েছে যা রাষ্ট্রপতি, পরিকল্পনামন্ত্রীদের কথাতেই প্রমাণিত। মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমেদ বলেন, সমাবেশ করা, সরকারের সমালোচনা করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সরকার এই মহাসমাবেশ নিয়ে যা করেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি