1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ | Bastob Chitro24
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিজেপি ৪০০ পার করলে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে যাবে ডেঙ্গু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মেয়র তাপস: সাঈদ খোকন বাজারভিত্তিক সুদহারে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের পারিবারিক সংগঠনের সন্ধান ১৩৯ উপজেলায় দলীয় প্রতীকহীন ভোট আজ সহিত্যিক মীর মোশাররফ স্কুলের প্রাচীর সংস্কার হচ্ছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ জারি গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসজনিত বিদায় অনুষ্ঠান রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্যাপ বিতরণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

‘গাহি সাম্যের গান/ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান্…’ এমনি সাম্য ও মানবতার জয়গানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তার লেখা প্রেম, দ্রোহ, সাম্য-মানবতা ও জাগরণের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে এবং এখনো দেখিয়ে চলছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) তিনি ঢাকায় পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ইন্তেকাল করেন। এরপর কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুসলিম লীগের আলোচনা অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাবি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যালি সহকারে কবির মাজারে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। এছাড়াও কবির স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন, একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিণী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতজগতকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী প্রদান করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, নজরুল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার কবিতা ও গান যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। আন্দোলন সংগ্রামে তার কবিতা-গান আমাদের শক্তি ও সাহস জোগায়।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও কবি কখনো আপস করেননি। মাথানত করেননি, লোভ-লালসা, খ্যাতি, অর্থ, বিত্ত-বৈভবের কাছে। আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধেও ছিলেন সোচ্চার। তার রচিত ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের রণসংগীত।

যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনি জীবনেও। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি করেন। একটি হচ্ছে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও অপরটি ‘ভাঙ্গার গান’। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতাই বাংলা কাব্যে নতুন বাঁক সৃষ্টি করেছিল।

শুধু কবিতাতেই নয়, গান রচনায় নজরুল অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি প্রায় তিন হাজার গান রচনা ও সুর করেছেন। নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন ধ্রুপদি ধারার সঙ্গে। রাগনির্ভর গানকে ভেঙেচুরে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য ও শ্রুতিমধুর করেছেন। এক রাগের সঙ্গে অন্য রাগের মিলন ঘটিয়ে সংগীতে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, গান, নাটক লিখলেও মূলত কবি হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। আজীবন বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের কারণে তিনি ভূষিত হন ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে। তিনি তার কবিতার পংক্তিমালায় তুলে ধরেন নিপীড়িত মানুষের কথা। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন নজরুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি