মহাসড়কে ময়লা আবর্জনা ফেলা মহাসড়ক আইন ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। দিনে দিনে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দুই পাশ (দুর্গাপুর কাজীপাড়া এলাকা) যেন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কুমারখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিন শহরের সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা কুষ্টিয়া- রাজবাড়ি সড়কের দুই পাশে ফেলে যায়। এতে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সহ সাধারন নাগরিকদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে সওজ কুষ্টিয়ার উদ্যোগে দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মহাসড়কে ময়লা ও আবর্জনা ফেলা মহাসড়ক আইন, ২০২১ এর ধারা ৯ (১৬) ও ১৪ (১০) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ধারা ৬ (গ) ১৫ (১) (৬) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তা সত্বেও কুমারখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনিই সড়কের দুই পাশে পৌরসভা এলাকার সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, আইন ভঙ্গ করে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলানো বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নন্দলালপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, বাইসাইকেল চালিয়ে প্রতিদিনই শহরের যাতায়াত করি। সারাপথ ভালোই আসি কিন্তু এখানে এলেই ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেলা শহরে যাতায়াতকালে ময়লা আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া যায়না। আইন অমান্য করে রাস্তার দুই পাশে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় তৈরী করা হয়েছে, একাজ করা মোটেও উচিত হয়নি। কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে, পরিবেশ দুষণসহ সড়কের সৌন্দর্য্যহানি ও ক্ষতি হচ্ছে এটা সঠিক। কিন্তু এই মুহুর্তে ময়লা আবর্জনা ফেলার মতো বিকল্প জায়গাও নেই। তবে জনদুর্ভোগ নিরসনে খুব শিঘ্রই একটি প্রকল্প গ্রহণ ও চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।