কলকাতার দশম বাংলাদেশ বইমেলার পর্দা উঠছে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর)। শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী নাট্যকার ব্রাত্য বসুও।
দশ দিনের এই মেলা সাজানো হয়েছে নানা আয়োজনে। কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় নাট্য ব্যক্তিত্ব সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
প্রতিদিন দুপুর ১টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। কলকাতার বই পাড়া বলে পরিচিত কলেজ স্ট্রিটের কলেজ স্কয়ারের এই বই মেলায় বরবারের মতো এবারও থাকছে না কোনো প্রবেশমূল্য।
বরং মেলায় ঢুকে কলকাতার পাঠকরা বই কেনার সঙ্গে সঙ্গে রোজ সন্ধ্যায় উপভোগ করতে পারবেন বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত নানা অনুষ্ঠান। দশ দিনের মেলায় প্রতিদিনই থাকবে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আয়োজন। গান কবিতাসহ থাকবে আলোচনা অনুষ্ঠানও।
এবারের বইমেলায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার জাতির পিতার চিন্তা, আদর্শ ও চেতনাকে তুলে ধরতে এই প্রথম বাংলাদেশ বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। তার কথায়, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়জুড়ে। তাই নানা ভাবে তাকে তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে।
আন্তর্জাতিক এ বইমেলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে গত দু-বছর করা সম্ভব হয়নি প্রাণের এই আয়োজন। তাই এবার বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে এই আয়োজনের। আসছেন বাংলাদেশ থেকে প্রথম সারির বেশ কয়েকজন লেখক, সাহিত্যিক ও গল্পকার। কলকাতার বিশিষ্টজনরাও অংশ নেবেন প্রতিদিনের আয়োজনে।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব প্রেস রঞ্জন সেন জানান, বাংলাদেশ পুস্তুক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যৌথভাবে কলকাতার বাংলাদেশ বই মেলার আয়োজন করেছে।
২০১১ সালে প্রথম গগনেন্দ্র সংগ্রহশালা শুরু হয় শুধু মাত্র বাংলাদেশি বইয়ের এই মেলা। এর তিন বছরপর ২০১৪ সালে সংগ্রহশালার ভেতর থেকে প্রথম প্রকাশ্য মেলার আয়োজন করা হয়।
সেবার মেলা হয় রবীন্দ্র সদনে খোলা আকাশের নিচে। এরপর সেখানে তিন বছর পর মেলার পরিসর বেড়ে উঠলে মেলাকে নিয়ে যাওয়া হয় মোহরকুঞ্জে। কিন্তু সেখানে কিছু অসুবিধার কারণে এ বছর নতুন ভ্যানু খুজতে হয় আয়োজকদের।