আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আগামী বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। রোববার ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্বে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হযেছে। এটি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ১৫.৩৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৪ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত আগামী বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে আগামী বাজেটে মোট আয় বাড়ছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপি‘র সাড়ে ৫ শতাংশ। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ৩০ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। এটা স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এবং বর্তমান সরকারের টানা ১৪তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি হবে চতুর্থ বাজেট। সূত্র জানায়, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭.২ শতাংশ। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩ শতাংশ। এদিকে আগামী অর্থবছরের মোট আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।এটি জিডিপির প্রায় ৮.৪ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। এছাড়াও আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে এনবিআর বর্হিভূত খাত থেকে থেকে আয় দরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্বধরা হযেছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকার এডিপির প্রস্তাব করা হযেছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা।