আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি শোচনীয়। নিরুপায় সরকারও। সংকটে পড়ে শেষ পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের বেতনেও কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জানিয়েছে, অর্থনীতির দুরবস্থার সঙ্গে লড়তে একাধিক পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মীদের বেতন কমানোর বিষয়টি।
জানা গেছে, সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কমানো হতে পারে সরকারি কর্মীদের। শুধু তাই নয়, সরকারি খরচেও রাশ টানতে চাইছে পাকিস্তান। সে জন্য নেতা-মন্ত্রীদের খরচও ১৫ শতাংশ কমানো হতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাস, ভোজ্যতেল মিলছে না অনেক শহরে। এছাড়া সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে পাম, সয়াবিন ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত থাকা তেল ভাণ্ডারেও টান পড়বে শিগগিরই।
আকাশছোঁয়া দাম জ্বালানিরও। এমনকি পাকিস্তানে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝে মাঝে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসবের জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা এখন আইএমএফ। গত বছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে টেনে তুলেছিল সংস্থাটি। কিন্তু এবছর সেটা সম্ভব হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।