1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে চিহ্নিত ব্লকে অপসারণ করে একটি রিং বসানো হয়েছে। গত শনিবার এনজিওগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর থেকেই ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানোর পর ২৪ ঘণ্টা এখনো পার হয়নি। এসব ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টার আগ পর্যন্ত রোগীর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। তাই ম্যাডামের বর্তমান যে শারীরিক অবস্থা, একে ‘আপাতত স্থিতিশীল’ বলা যায়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, শনিবার বেলা দুইটা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, ডাক্তারদের বক্তব্য হল, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না। সেজন্য উনারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।

সিসিইউতে খালেদাকে কার্ডিওলস্টিদের পর্যবেক্ষেণে রাখার কথা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, শনিবার ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫% ব্লক ছিল। বাকি দুটি ব্লকের আচরণ কেমন হবে তা এখন বলা মুশকিল। বর্তমানে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল খালেদা জিয়াকে দেখভাল করছেন বলেও জানান তিনি।

হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে জরুরিভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুরে প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম করা হলে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। তৃতীয় দফায় প্রায় ৩ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে।

তখন পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও বহু বছর ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে সর্বশেষ ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক জানান, ম্যাডামের মেইন আর্টারিতে ৯৯ শতাংশ ব্লক পাওয়া যায়। সেখানে রিং বসানো হয়েছে। বাকি ব্লকগুলো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। কারণ ওনার শরীরে অন্য রোগ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে অপারেশন করতে গেলে কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। যেমন শনিবার রিং বসানোর অপারেশনের সময় ওনার ডায়াবেটিস অনেক হাই ছিল।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত খোঁজ রাখছেন পরিবারের সদস্যারা। ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে সরাসরি চিকিৎসকদের কাছ থেকে মায়ের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তার স্ত্রী ডা. জুবায়দা রহমানও চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। অন্যদিকে ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপির চিকিৎসক ও খালেদা জিয়ার ভাই-বোনদের কাছ থেকে শাশুড়ির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি