আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়া পল্টনেই করার সিদ্ধান্ত পুনরায় জানানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সভায় আরও বলা হয়, জ্বালানি তেল, গ্যাস, পানি ও সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং তাদের কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে ভোলায় আব্দুর রহিম ও নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শাওন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নয়ন মিয়ার হত্যা, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে যশোরে আলীম, সিলেটে কামাল, পটুয়াখালীর সাবেক এমপি শাহজাহান খান হত্যার প্রতিবাদে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ প্রায় ৪০ লাখ বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো হচ্ছে। সভায় চলমান বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিভাগের গণসমাবেশ সফল করার জন্য ওই বিভাগের জনগণ ও বিএনপির সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানানো হয়।
এছাড়া, চলমান গণআন্দোলকে দমন করার লক্ষ্যে পুলিশকে ব্যবহার করে পুনরায় সাজানো গায়েবি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলা দেয়া হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ৬ শতাধিক। মামলা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। একদিকে কোথাও বাধা দেয়া হবে না বলেও নির্বিচারে আটক ও গ্রেফতার চালাচ্ছে পুলিশ। সভায় দমননীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাযনো হয়। সভায় অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা বন্ধ করে, মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে সব দায় সরকারকে বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এদিকে, পূর্বঘোষিত ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে তাদের ভাষায় এ অবৈধ সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পূর্বেঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত আবারও ঘোষণা করা হয়। সব দুরভিসন্ধি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাজশাহী ও ঢাকায় গণসমাবেশ সফল করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় একযুগে সীমাহীন দুর্নীতির শিকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ ক্রমেই দুর্বল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকটি কাগুজে কোম্পানীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজীরবিহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
সভায় সামগ্রিক আর্থিক খাত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..