বিয়ের কিছুদিন পরেই স্ত্রী-শ্যালিকাকে ভারতে পাচার করে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয় ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি। তিনি নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। পরে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রানা আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন ও নাইমুর রহমান ওরফে সাগর।
গতকাল বুধবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জবানবন্দিতে পাচার হওয়া ওই দুই বোন জানান, প্রায় দুই বছর আগে তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি কারখানায় কাজ নেন। সেখানে থাকার সময় বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউসুফ, পরে বিয়েও করেন।
গতবছর বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে ইউসুফ তাদের ভারতের নারী পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। ইউসুফ যে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত, বিপদে পড়ার আগে সেটা তারা বুঝতে পারেননি তারা। তিনি আরো বলেন, গত বছরের ৪ মে ঝিনাইদহের মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ইউসুফ তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে পাচার করেন। সেখানে ইউসুফের সহযোগীরা তাদের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেন। ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ওই দু’বোন।
পরে তারা কৌশলে যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় এ বছরের ২২ মার্চ দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরলে তাদের বাবা মামলা করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ইউসুফকে আগেই গ্রেফতার করে। সংসার করা ইউসুফের উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতে পাচার করার জন্যই তিনি বিয়ে করেন।তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এ চক্রের দেশি-বিদেশি সদস্যদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।