উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বাফুফের ক্যাম্পে থাকা চার ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আঁখি খাতুন এবং রাবেয়া। খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হলেও গুরুত্ব বুঝেই পড়াশোনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ফুটবলাররা। সবার জন্যই শিক্ষার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছে বাফুফে।
যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। নারী ফুটবলারদের বেলায় কথাটাকে একটু ঘুরিয়ে বললে হবে যারা খেলাধুলা করে, পরীক্ষায় তারা ভালো ফল (রেজাল্ট) করে। বলছি ঋতুপর্ণা, আঁখি, শামসুন্নাহার আর রাবেয়ার কথা। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাফুফের ক্যাম্পে থেকে তারা সবাই ভালো ফল করেছেন।
বাফুফের ক্যাম্পে থাকা ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রমের খবর সবার জানা। এর মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সত্যিই বেশ কঠিন। তার ওপর আছে ক্লাব ফুটবলসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। তবে এসবের ভিড়েও পড়াশোনা ঠিকই চালিয়ে গেছেন তারা।
ক্যাম্পের আরেক ফুটবলার রাবেয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন এত কষ্ট করার মাঝেও আমরা পড়াশোনা করেছি। স্যার-ম্যামরা সবসময়ই প্র্যাকটিসের পরও আমাদের পড়াশোনায় যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।’
ক্রীড়াবিদদের জীবন চ্যালেঞ্জে ভরা। ক্যারিয়ার শেষ করে এক সময় থামতে হয় ফুটবলারদের। সেই লাইফে যাতে কোন সমস্যা তৈরি না হয় তাই ফুটবলারদের শিক্ষিত করার প্রয়াস বাফুফের। যে সুযোগ আছে ক্যাম্পে থাকা সবারই।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘সবার জন্য পড়াশোনার সুযোগ আছে। শিক্ষক আছে, সবকিছুই আছে। এটা তো নির্দিষ্ট কয়েকজনের জন্য না। এমনকি এমনও হয়েছে যে, ওরা তো গ্রাম থেকে এসেছে, ওদের অনেকের পরীক্ষা তাই গ্রামেই ছিল। আমরা সেটা চেঞ্জ করে ঢাকাতে এনে এখান থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’
এর আগে বাফুফে ক্যাম্পে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী। যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।