মানিকগঞ্জের জাগীরবন্দর আড়তে সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির সরবরাহ বাড়ায় পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৫-১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে কৃষকরা হতাশ হলেও খুশি সাধারণ ক্রেতারা। তবে আড়তের যানবাহন থেকে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ আড়তদার কমিটি।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরে কৃষক আর পাইকারে বেচাকেনায় সরগরম মানিকগঞ্জের জাগীরবন্দর সবজির আড়ত। মিলছে গ্রীষ্মকালীন পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুনসহ নানা সবজি। সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির সরবরাহ বাড়ায় প্রতিকেজি সবজির পাইকারি দর কমেছে ৫ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত। দরপতনে উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিমে কৃষক।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিচিঙ্গা ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ১৬ থেকে ১৮ টাকা, মরিচ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, শসা ২০ থেকে ২২ টাকা, বেগুন ১৮ থেকে ২০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা, গাজর ১৬ থেকে ১৭ টাকা, মিষ্টি লাউ ১৫ থেকে ১৬ টাকা, শজনে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আড়তে সবজি নিয়ে আসা কৃষক কালাম হোসেন বলেন, ‘এ বছর তিন বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করেছি। তবে দিন দিন উপকরণের দাম বাড়ায় আমি হতাশ। লাভের মুখ দেখা কষ্ট। আমরা দিন কষ্টে কাটাচ্ছি। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে সেচ ও পরিবহনসহ শ্রমিক ব্যয় বহনে।’
আরেক কৃষক সফিক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘নিজের জমি নাই। তাই পাশের বাড়ির জমি লিজ নিয়ে সবজির চাষাবাদ করছি। অনেক কষ্টে টিকে আছি। আশা করি সরকার আমাদের দিকে একটু তাকাবেন। বিশেষ করে তেলের দাম কমলেই সব সমাধান হবে।’
চাকরিজীবী পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘এখানে কিছু সবজি কিনতে এসেছি। সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তবে আমাদের বেতন তো আর বাড়েনি।’
আড়তে আসা যানবাহন থেকে পৌরসভার নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ আড়ত কমিটি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ব্যবসায়ীদের। আড়ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম লাভলু জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের জাগীরবন্দর আড়তে প্রতিদিন আড়তদার ও দুই হাজার পাইকারের মাধ্যমে কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের সবজি বেচাকেনা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..