বিশ্বকাপে প্রতিবারই দল নিয়ে অনেক আশা থাকে। কিন্তু, কখনোই তা পূরণ হয় না। এবারও ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাথুরুসিংহের অধীনে বড় স্বপ্ন দেখছেন নাজমুল হাসান পাপন। প্রিয় ফরম্যাট আর উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলা হওয়ায়, সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন বিসিবি সভাপতি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আর কিছু দেয়ার নেই- এমন কথা বলেই ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়েছিলেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিদেশে বসে তার রিজাইন লেটার পাঠিয়ে দেয়াটা মোটেও পছন্দ হয়নি বিসিবির। তবে ৫ বছরের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে আবারও টাইগার ডেরায় লঙ্কান কোচ। সিডনিতে হোটেলে তার সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ সেরেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ধরনের প্রত্যাশা আমাদের ছিল অন্তত বিশ্বকাপে তা করতে দেখিনি। ওডিআইতে আমরা তুলনামূলক অন্যান্য ফরম্যাটের চেয়ে ভালো খেলি তাই আমাদের প্রত্যাশাও একটু বেশি। তারচেয়েও বড় কথা খেলা হবে এই সাবকন্টিনেন্টালে। আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়া উচিত। ইংল্যান্ড আসছে, এরপর আয়ারল্যান্ড আসছে। এই দুইটা সিরিজ দেখে সে (হাথুরুসিংহে) একটা প্ল্যান তৈরি করবে।’
বিশ্বকাপের এখনও বাকি ৮ মাস। আপাতত অ্যাসাইনমেন্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ। প্রথম দফায় ঘরের মাটিতে একমাত্র ইংলিশদের কাছেই সিরিজ হেরেছিল হাথুরুর দল। এবার প্রতিশোধের লক্ষ্য তার। তবে বাস্তববাদী বিসিবি প্রধান। রঙিন পোশাকের ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয় পাওয়া মহাকঠিন, মনে করিয়ে দেন তিনি।
পাপন বলেন, ‘সব দেশই চাইবে তার দেশে যে নিজস্ব এডভান্টেজগুলো আছে সেটাকে কাজে লাগাতে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা যে খুব একটা কাজে দেবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। আপনার মনে রাখতে হবে, দে আর দ্য চ্যাম্পিয়ন। যদি বলি আমরা এখন পেস ফ্রেন্ডলি উইকেট বানাব, পেসে ওরা ডেফিনিটলি অনেক স্ট্রং। আমি যদি বলি স্পিন ফ্রেন্ডলি করব, ওদের স্পিনও অনেক স্ট্রং। হুবহু না হলেও অন্যান্য বিদেশি দলের বিপক্ষে যেমন উইকেটে খেলেছি, উদাহরণস্বরূপ ধরুন ভারতের বিপক্ষে যেমন উইকেটে খেলেছি, তেমনই হওয়ার কথা।